এই পোষ্ট পড়ার পর আপনি শুধু জানতেই পারবেন না যে, বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য সেরা কার্ড কোনগুলা বর্ং আপনি নিজের সেরা কার্ড নিতে পারবেন। এছাড়া ফেসবুক বিজ্ঞাপনের কিছু হিডেন খরচ আমি আপনাদের জানাবো, যা না জানলে আপনার অতিরিক্ত অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে। আমি শতভাগ নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, বাংলাদেশ থেকে যারা নতুন ক্যাম্পেইন চালায়, তারা হিডেন কিছু কষ্টের শিকার হয়, যেগুলো খোলা চোখে মনে হয় অল্প, কিন্তু সেই হিডেন খরচই তাদেরকে কম্পিটিটরদের থেকে পিছিয়ে দেয়।
বাংলাদেশী ব্যাংক কার্ডগুলো ব্যবহারের অভিজ্ঞতা
আমি বাংলাদেশেল টপ কার্ডগুলো ব্যবহার করেছি ফেসবুকে এড দেওয়ার জন্য। প্রিপেইড কার্ড, একাউন্টের সাথে থাকা কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এগুলো আমার ব্যবহারের সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে যে কার্ডগুলো ব্যবহার হয় তারমধ্যে EBL এর প্রিপেইড কার্ড সব থেকে জনপ্রিয়, এর পরবর্তী সারীতে আছে সিটি ব্যাংকের এমেক্স কার্ড, অনেকেই EBL এবং City ব্যাংকের সাথে থাকা ডেবিট কার্ডকে এন্ডোর্সমেন্ট করে ব্যবহার করে থাকে।
বাংলাদেশের প্রতিটা ব্যাংক ই 15% ভ্যাট কাটে ফেসবুক এড ম্যানেজার থেকে বিল পেমেন্ট করার সময়, 15% বললে ভুল হবে, কাটে 16 থেকে 18 পার্সেন্ট। 15% এর সাথে অতিরিক্ত আবার 2-3% কাটে SD,কারেন্সি এবং অন্যান্য কারণ দেখিয়ে। তারমানে আপনি বাংলাদেশী যে কোন ব্যাংকের কার্ড দিয়ে 100 টাকার এড দিলে কার্ড থেকে কাটবে 117-118 টাকা। 1 লাখ টাকায় সাতারো-আঠারো হাজার টাকা বেশী।
আর যদি ফেসবুকে বিন নাম্বার (Business Identification Number) দিতে না পারেন, তাইলে ফেসবুক আবার কাটবে 15%, তারমানে মোট কাটতেছে ৩০% থেকে ৩৩%, যারা এক্সপার্ট তারা কিন্তু এই খরচটা বাঁচিয়ে ফেলে।
এক্সপার্ট রা কোন কার্ড ব্যবহার করে ফেসবুকে এড দেয়?
একদম গভীরের কথা বললে এক্সপার্টরা Payoneer Card ব্যবহার করে, তবে যারা Payoneer কার্ড ব্যহার করে শুরু করচে চায় বা রেগুলার ব্যবহার করে, তারা ডলার লোড নিয়ে প্রাশই ঝামেলায় পড়েন। Payoneer কার্ডে ডলার লোড করতে প্রতি ডলার কিনতে হয় বর্তমান বাজারে 130-132 টাকা প্রতি ডলার রেটে, তবে যারা বড় এমাউন্ট কিনে, তারা ২-১ টাকা কমে কিনতে পারেন।
তবে Payoeer Card অনেক সময় ডলার সহ ব্লক করে দেয়, হাজার হাজার ডলার সহ পাইওনিয়ার কার্ড এবং একাউন্ট ব্লক করেছে এমন ঘটনা অনেক পাবেন। Payoneer ছাড়াও আরো কিছু কার্ড অনেকে ব্যবহার করে।
সম্প্রতি আমি Payoneer এর বিকল্প হিসেবে যে কার্ড ব্যবহার করছি
আমি রেডটপে এর ভার্চুয়াল কার্ড ব্যবহার করছি, এই কার্ডটা ব্যবহার করে আমি শুধূ ফেসবুকের এড এর বিল না, যাবতীয় দৈনিক কাজেও ব্যবহার করছি, যদিও RedotPay প্রতি ভার্চুয়াল কার্ড কেনার সময় দশ ডলার নেয়, চাইলে ভীন্ন ভীন্ন নামে একাধিক ভার্চুয়াল কার্ড নেওয়া যায়।
দশ ডলার কার্ড নিতে খরচ হলেও অতিরিক্ত আর তেমন চার্জ নেই, গত দুইমাস যাবৎ ব্যবহার করে খুব কম্ফোর্টলি আমি ব্যবহার করছি RedotPay এর এই কার্ড।
আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার বা উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তাহলে এখুনি নিয়ে নিতে পারেন এই কার্ড, পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্টের ঝামেলা নেই, বছরে কয়েক কোটি টাকা কার্ড দিয়ে খরচ করলেও কোন সমস্যা নেই, বাংলাদেশী ব্যাংক কার্ডগুলোর মতো বছরে 12 হাজার ডলারের মতো হাস্যকর লিমিট নাই।
ইতিমধ্যে দশ লক্ষ্যাধিক মানুষ RedotPay এর কার্ড ব্যবহার করে, আপনি যদি এখুনি RedotPay একাউন্ট সাইনআপ করেন, আপনি ৫ ডলার ফ্রী পাবেন।
RedotPay একাউন্ট সাইনআপ করতে আপনার ৫-৭ মিনিট লাগবে, ভেরিফাই করতে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবেনা, NID কার্ড দিয়েই ২-৩ মিনিটে ভেরিফাই করলে অটোমেটিক ৫ ডলার RedotPay একাউন্টে পেয়ে যাবেন।
এক্সপার্টরা এখন রেডট পে ব্যবহার করছে, যে কোন প্রশ্ন, মতামত কমেন্ট করুন। RedotPay তে ডলার লোড করতে কোন সমস্যা হলে আমাকে নক করতে পারেন Telegram এ। নক করলে Hi, Hello না বলে ডিরেক্ট কাজের কথা বলবেন। আপনি Binance সহ যে কোন পপুলার Crypto কিংবা স্টাবলকয়েন ব্যবহার করে RedotPay তে ডলার লোড করতে পারবেন।
নিয়মিত আপডেট পেতে BanksFact এর অফিশিয়াল ফেসবুকে পেজ ফলো করতে পারেন। ধন্যবাদ।